Alapon

রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যু: মিডিয়া ও সেক্যুলারদের নর্তন-কুদন



শুনলাম রবীন্দ্র সঙ্গীতের কোন গায়ক রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার, পদক-টদক না পেয়ে রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে। তা এই গায়ক যে একেবারেই পদক পায় নি, তা সত্য না। চ্যানেল আই থেকে তাকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরষ্কার দিয়েছে। আর সে পাশের ভন্ড্যু রাষ্ট্র থেকে মাশোয়ারা পেতো না, তা আমি বিশ্বাস করি না। তবে এদের একটা বড় সমস্যা হলো এরা যতো পায়, ততো চায়। তাই আত্মহত্যা করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ দু'বেলা ঠিক মতো খেতে পায় না। আর এরা এতো সুযোগ সুবিধা পেয়েও এরা 'আরো চাই' না পেয়ে আত্মহত্যা করে।

আত্মহত্যার আরেকটা কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ডিপ্রেশন। অবশ্য ডিপ্রেশন হওয়ারই কথা। এরা যেই 'রবীন্দ্র ধর্মের' অনুসারী, এই 'রবীন্দ্র ধর্ম' মানুষের মনে শুধু হতাশা-হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাসই তৈরি করে। এক কৃত্তিম বেদনা তৈরি করে মানুষের মনে, কোনো আশার আলো দেখায় না। এমন মানুষদের আত্মহত্যার মাঝে আমি অস্বাভাবিক কিছু দেখি না। কারণ এদের জীবন দর্শন এদেরকে আশার আলো দেখায় না। শত প্রতিকুলতার মাঝেও লড়াই করে বাঁচতে শেখায় না। শেখায় শুধু প্যান প্যানে হতাশা।

এই ব্যাক্তির হতাশার আরেকটা কারণ হতে পারে বর্তমান বাংলাদেশের সমাজে রবীন্দ্রিক ও সেক্যুলাঙ্গার নর্তক-নর্তকীদের ভাত না পাওয়া। সত্যিই এখন দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে এসবের এখন ভাত নাই। এই দেশের বর্তমান প্রজন্ম ৭০-৮০ দশকের সোভিয়েত প্রভাবিত মুসলিম বিদ্বেষী নষ্ট প্রজন্ম না। এরা এখন ইসলাম দ্বারা প্রভাবিত পরিশুদ্ধ প্রজন্ম। রবীন্দ্রিক নর্তন-কুদন এখন বাংলাদেশের সমাজে অপ্রাসঙ্গিক। সেই বাস্তবতা দেখেই হয়তো গায়ক মশাই আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন।

তার মৃত্যুরপর বাংলাদেশের কথিত সাংস্কৃতিক কর্মী ও কালচারাল এলিটদের মাতমের শেষ নেই। এরা রাস্তায় নেমে মাতম করছে। সেগুলোকে আবার হাইলাইট করছে ভেঁড়াতীয় দালাল মিডিয়া। যেনো এটা অনেক বড় একটা ইস্যু। একজন গায়ক মরে যাওয়াতে দেশের বিরাট বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। কিন্তু দেশের বা এই দেশের সমাজের প্রতি এদের কন্ট্রিবিউশন কি?

আসল কাহিনী হলো এই গায়কই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথের রবীন্দ্র সঙ্গীতের আড়ালে প্রচার করা "উপনিষদীয় শিক্ষা" প্রচারে অন্যতম অগ্রগামী ছিলো। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মনে করে যে রবীন্দ্রনাথের গান গুলো শুধুই গান, কিন্তু এটা ভুল, রবীন্দ্রনাথের গানগুলো শুধুই গান না। বরং এগুলো হলো হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ উপনিষদের বিভিন্ন স্লোকের বঙ্গানুবাদ বা অনেক ক্ষেত্রে ভাবানুবাদ। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ তার অধিকাংশ গানের আড়ালে মানুষের মনে কৌশলে উপনিষদের শিক্ষা ঢুকাতে চেয়েছিলেন। এই জন্যই ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর মুসলিমবঙ্গে (পূর্ববঙ্গ) তথাকথিত সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাহিত্যিকদের ফান্ডিং এর মাধ্যমে রাবীন্দ্রিক চেতনা প্রচারের মিশন হাতে নেয় ভাঁড়ত। যাতে বাংলার মুসলমানের অবচেতনেই তার মন থেকে কুরআনী শিক্ষা মুছে গিয়ে তার স্থানে উপনিষদীয় শিক্ষা স্থান করে নেয়।

১৯৭০ ও ৮০' এর দশকে বাংলাদেশের উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের মাঝে রবীন্দ্র সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করণের মাধ্যমে উপনিষদীয় হিন্দুত্ববাদী কালচারাল হেজেমনি গঠনে সহায়তা করে এই ব্যাক্তি। আর সে সময়ের উদীয়মান তরুণ প্রজন্ম ছিলো সোভিয়েত প্রভাবিত মুসলিম বিদ্বেষী ভামপন্থি (বামপন্থি)। তাই তারাও এই উপনিষদীর শিক্ষাকে গ্রহণ করে। এই ব্যাক্তির বিষয়ে স্টাডি করে জানতে পারলাম যে, তার বাবা 'চেতনার লোক' ছিলো। আর তার পড়াশোনা ছিলো ভাঁড়তের 'বিশ্বভাঁড়তী বিশ্ববিদ্যালয়ে'। ভাঁড়ত তাকে স্কলারশিপ দিয়েই সেখানে নেয় ও স্নাতক-স্নাতকোত্তর করায় রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর। আর আমরা জানি যে ভাঁড়ত এমনি এমনি বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের দেশে স্কলারশিপ দিয়ে নেয় না। যাদেরই নেয় একটা 'বিশেষ উদ্দেশ্য' থেকে নেয়। আর এসব ব্যাক্তিরা দেশে ফিরে ভাঁড়তের পক্ষেই কাজ করে। সুতরাং, আমরা ধরেই নিতে পারি যে এই ব্যাক্তি অন্যান্য বাঙ্গু সেক্যুদের মতোই ভেঁড়াতীয় প্রোডাক্ট ছিলো। আর সেটা আরো স্পষ্ট হয় এই ব্যাক্তির মৃত্যুতে বাঙ্গু সেক্যুদের হাহাকার ও দালাল মিডিয়ার হাইলাইট দেখে।

যাই হোক, একটা বিষয়ই প্রমাণিত মুসলিমবঙ্গে রবীন্দ্রিক চেতনা অপ্রাসঙ্গিক ছিলো, আছে আর থাকবে। আর এসব ব্যাক্তিদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের কালচারাল এলিটদের কিছু যায় আসলেও আমাদের সত্যিই কিছু যায় আসে না। এরা থাকলেই কি আর না থাকলেই কি। উল্টো থাকলে আমাদের জন্যই ক্ষতি।

পঠিত : ৬৭১ বার

মন্তব্য: ০