বড় ভাই এম,সাখাওয়াৎ পারভেজ(সজ্জল) এর লেখা।।
তারিখঃ ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১০:৪৬
★★★--পুলিশ--★★★
-এম,সাখাওয়াৎ পারভেজ(সজ্জল)
উৎসর্গঃ- বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী'র সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে।
-----------*****-----------
আমি পুলিশ নই,
তবে পুলিশ সদাই দেখি,
দু'একজন পুলিশের সাথে
সখ্যতা টাও রাখি।
উর্দি পরা পুলিশ দেখে-
"ভয়ে বুক দুরু দুরু",
পুলিশের সমালোচনা-
"সেই জন্ম থেকেই শুরু"।
জানি-"পুলিশ অস্ত্রধারী
সরকারী মস্তান",
সমাজের চোখে পুলিশের নামে
রয়েছে বদনাম!
হাজার দোষে-দোষী পুলিশ,
কোটি ক্রোধের আগুন-
পুলিশের পোশাক ভষ্ম করে-
"দেখেনা কেহ তার কি গুন"।
হ্যাঁ,স্বীকার করি-"পুলিশের মাঝে
রয়েছে বেশ দূর্নীতি",
পুলিশের 'সুনাম' ধ্বংস করেছে
ঐ ভাগাড়ের রাজনীতি!
"পুলিশ"আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী,
নিরাপত্তা বাহিনী।
কখনও কি কেহ জানতে চেয়েছি-
তাদের জীবন-কাহিনী ?
আমরা কেবল উপরটাই দেখি,
ভিতরটা নাহি দেখি।
উর্দির নীচে "যে হৃদয়"আছে
তার খোঁজ কি কভূ রাখি?
কি "যাতনা-বিষে" উর্দির নীচে
হৃদয়টা নিয়ে বাঁচে-
যদি তুমি দেখো ''তৃতীয়-নয়নে''
অশ্রুতে যাবে ভেসে!
পুলিশ-সে তো আমারই পিতা,
আমারই সন্তান,আমারই তো ভাই সবে,
অথবা আমারই কন্যা, ভগ্নি,আমারই মাতা হবে।
তাদেরও তো আছে-"মাতা,পিতা,ভাই,
স্ত্রী, সন্তান,সংসার"
আমাদের মতো আছে কি তাঁদের
'সুখের অবসর'?
ঈদ,পার্বণে, জাতীয় দিবসে-
স্ত্রী, সন্তান লয়ে,
কি আনন্দে মাতি আমরা
খুশিতে মাতম হয়ে!
অথচ পুলিশ,"সেদিন, সে সময়ে"-
'তোমায়-আমায়' নিরাপত্তা দিতে
গিয়েছে ব্যাস্ত হয়ে!
কি রোদ, কি বৃষ্টিতে-
কি দিন, কি রাত্রীতে-
কি বর্ষা, কি হিম-শীতে-
যখন যেথা যেতে নির্দেশ-
পুলিশ বাধ্য সেথায় যেতে।
কতো ভয়ংকর,দূর্ধর্ষ,সন্ত্রাসীদের ধরতে-
সাহস লয়ে বুকে,প্রান-বাজী রেখে
তাদেরই তো হয় লড়তে।
'শ্রমে-ঘামে' তারা একাকার হয়ে-
"সেবিছে সদা এ দেশটা"
কোথাও কোন অলসতা নেই-
"শান্তি প্রতিষ্ঠাই চেষ্টা"।
পুলিশ মানে -"শান্তি-রক্ষী",
পুলিশ মানে -"ত্রাতা"।
প্রয়োজনে ধরে 'অগ্নি-মুরতি'
কখনও আবার মিতা।
পুলিশ কাহারও শত্রু নহে,
পুলিশ মোদের ভাই।
'বিপদ-কালে' পুলিশের চেয়ে
আপন কেহ নাই।।
'আমি-তুমি' যখন স্ত্রী সন্তান লয়ে
ঘুমিয়ে রয়েছি খাটে-
চেয়ে দেখো ওরা তোমারই সেবায়
রয়েছে রাস্তা,ঘাটে।
পায়ের মোজাটা ঘামে ভিজে গেছে-
শক্ত জুতোর মাঝে,
গায়ের পোশাক বৃষ্টি বা ঘামে
ভিজে সকাল-সাঁঝে।
মা'কে দেখেনি কতদিন-
অসুস্থ পিতা বিছানাতে কাহারও-
'দেখা হয়নি হয়তো বছর তিন!
হয়তো কাহারও অসুস্থ স্ত্রী-
বন্দি রয়েছে ঘরে,
হয়না দেখা সন্তানের মুখ
ভার্সিটিতে পড়ে।
অথবা কাহারও স্বামী,সন্তান
রয়েছে অনেক দূরে-
কত বিরহ, কত বেদনায়
কলিজাটা যায় পুড়ে!
ছুটি নাই, ছুটি নাই-
জন্মভূমির কারো সাথে আজ আর
তেমন পরিচয় নাই।
চব্বিশ ঘন্টাই ডিউটি,
কখনও দিবা-নিশি "জাগ্রত"
তবু,পান থেকে চুন পড়লে খসে-
গালি খেতে হয় কত?
'পুলিশ'-সে হোক ''সর্বোচ্চ বা
সর্বনিম্ন" পদ-
সুযোগ-সুবিধা কম বা বেশি-
সবারই একই বিপদ।
সদা-সর্বদা যুদ্ধে লিপ্ত -
'দূর্জন'দের সাথে,
প্রাণ নাই তার প্রাণের স্থানে,
প্রাণ রাখে সব হাতে!
সুখের সাথী নয় সে কাহারও,
দুঃখের সাথী হয়।
নিজের দুঃখের বোঝা খানি-
হৃদয়ে বয়ে বেড়ায়।
দু'টো পয়সা, দু'মুঠো অন্ন,
একটু সুখের আশে-
যুগ-যুগান্তর স্বজন হারা,
থাকে দেখো পরবাসে।
তবুও আমরা বলতে ছাড়িনা-
"শত মুখে ত্রুটি গাই"
আজও--ও সকল শান্তি-রক্ষী'রা
হয়নি মোদের ভাই!
সবিনয়ে বলি-'আজি হতে আর
পুলিশের কুৎসা নয়,
বরং তাঁদের সহযোগী হই-
"সম্মান যেন পায়"।
আজি হতে আর শত্রু নহে,
বন্ধু ভাবিয়া চলি,
"পুলিশ-জনতা" সদা ভাই ভাই-
চলি ধরে গলাগলি।
তাতেই শান্তি,তাতেই মুক্তি,
তাতেই ভক্তি রবে।
"পুলিশ-জনতা" হাতে হাত রাখলেই
বিবেক 'মুক্তি' পাবে।★
★বিঃদ্রঃ-প্রিয় পাঠকগণ, দয়াকরে -নিজে পড়ুন ও অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন না।এতে কিছুটা হলেও দেশ ও জাতি উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ্।
মন্তব্য: ০