Alapon

বিষাদ সমিতি

"অভিপ্রায় ভালোবাসে নন্দিনীকে।
রমনী সাড়া তো দেয়নি উলটো উপদেশ দিয়েই গ্যালো।
তাতে ও না পেরে শ্যাষম্যাষ সোজা বাংলায় বলে দিলো-
 "একতরফা কিছু হয়না"।

অভিপ্রায়ের আজ মন খারাপ।
অভিপ্রায়ের অনেক দিন ধরে মন খারাপ।
অভিপ্রায় বিষাদের সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে।
অভিপ্রায় ভেবে নিয়েছে এই "গন্তব্য "।

অরনী ভালোবাসে আকাশকে,
আকাশ ভালোবাসে সমুদ্রকে,সমুদ্র নদীকে,
নদী পাহাড়কে, পাহাড় ভালোবাসে মৃত্তিকাকে।
তারপর আর জানা যায়না।
পূর্ণতা নাকি বিষাদ!

নিখিলেশ আজো বিলের ধারে গিয়ে একাকী হাঁটে।
লালবিল্ডিংটা আর দেখা যায়না,
সামনে উঠে গ্যাছে বহুতল ভবন।মিথি নতুন বন্ধুত্বে ব্যস্ত।

নিখিলেশ বিষাদ মেখে মাথা নিচু করে চলে যায়।
আবার আসে।
প্রত্যেকদিন আসে।
বিষাদ মেখে আকাশ দেখে।

চন্দ্রমল্লিকার জানালার ফাঁক গলে আকাশ দেখার নেশা প্রচন্ড।
মেঘেঢাকা, আলোয় ঝলসানো,
মিটমিটে মুচকি হাসা আকাশ অথবা নিকষ আঁধার ছেয়ে থাকা আকাশ!
কিছুতেই কিছু যায় আসেনা।

হঠাৎ আকাশের আগে ভবন উঠলো,
চোখে বহুতল ভবনের বারান্দায় শুকোতে থাকা ভেজা কিম্বা শুকোনো কাপড় পড়ে।
আকাশ আর ধরা দেয়না।

বিষন্ন মল্লিকা বিষাদের যন্ত্রণায় আত্মিক ছটফটানিতে ক্ষয়ে যায়।
নদীরপাড় জুড়ে বড়ো জাহাজের ভীড়।
ছলাৎ আর শোনা যায়না।
বিষাদ ভর করে তুহিনের পুরোটায়।

রেললাইন ধরে হেঁটে যায় যে উঠতি কবি, বিষাদ তাকে খুন করে প্রতিনিয়ত।
খুন হয়ে গিয়ে নির্বাক আর্তচিৎকার তাকে তলিয়ে দেয় বেদনার চোরাবালির গভীরে।
অনেকগুলো ছাদে কিম্বা বারান্দায় বিষাদ ছুঁয়ে যায়, হৃদয়ে কম্পিত আর্তনাদ।
কারো যোগাযোগ হয়ে ওঠেনা কারুর সাথে, চোখে ভাসেকেবলই সুখময় স্মৃতি।
একাকী একাধিক হৃদয়মিলে গড়ে ওঠে বিষাদ সমিতি।

"সেরা ব্লগার প্রতিযোগিতা-২০১৮"

পঠিত : ৬৪৪ বার

মন্তব্য: ০