Alapon

তোরা জীবিত থাকলেও অভিশাপ মরলেও অভিশাপ।

এদেশে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে একটি সহজ বিষয় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে হাসিনা। কোন একটি রাজনৈতিক ব্যাক্তি খুন হওয়ার সাথে সাথে এর দায় জামায়াতের ঘাঁড়ে দিয়ে দিতে হবে। তাহলে শান্তি। তাহলেই স্বস্তি।

গাইবান্দার পিস্তল লিটন নামে এক এমপি খুন হয়েছে তার নিজের বাড়িতে। পিস্তল লিটনের বউ বলেছে সে নাকি পিস্তল হাতে একবার গোলাম আযমকে আক্রমন করেছিল সেজন্য জামায়াত শিবির তাকে খুন করেছে। জামায়াত শিবির যেসময় ক্ষমতায় ছিল সেসময় এই ঘটনার কথা ভুলে গিয়েছিল। এখন হঠাৎ করে তাদের সেই ঘটনা মনে পড়েছে। তাও গোলাম আযম মরে যাওয়ার পর।

এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয় জামায়াত শিবির। পুলিশ কয় জামায়াত শিবির। র‍্যাব কয় জামায়াত শিবির। আইনমন্ত্রী কয় জামায়াত শিবির। সবশেষ হাসিনা স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ(!) সহকারে জানিয়েছে পিস্তল লিটন নামের ঐ এমপিরে খুন করেছে জামায়াত শিবিরই।

ব্যাস চারদিকে জামায়াত শিবির জিকির শুরু হয়ে গেল। যে সুশীল সারমেয়গুলো দুইদিন আগেও লিটন ক্যান একটা বাচ্চা পোলারে গুলি করলো এই হাহুতাশ করেছিল সে এখন লিটনের মত অসাধারণ আর দেখে নাই বলে কলাম লিখা শুরু করলো। চারদিকে উতসব শুরু হলো। এই উতসব পুলিশের। গ্রেপ্তার উতসব। শ'খানেক জামায়াত শিবির তো ধরছেই। তদুপরি সাধারণ মানুষকে জামায়াত হিসেবে ধরে টাকা ইনকাম শুরু করেছে।

আইনের শাসন শুরু হয়ে গেল। চার্জশিট তৈরী যাচ্ছে দ্রুত। এর মধ্যে অন্য ঘটনায় জানা গেলো লিটনকে খুন করেছে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খান।

এভাবে একটি নয় প্রতিটি ঘটনা। বাবুল আক্তার পরকীয়া করে বউরে সরিয়ে দিয়েছে। দোষ চাপানো হয়েছে জামায়াত শিবিরের উপরে। নারায়ণগঞ্জের ত্বকী হত্যাসহ সব ঘটনায় প্রাথমিক দোষী জামায়াত শিবির।

সবশেষ রংপুরের আইনজীবী ও লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের ঘটনা। কোন কূল কিনারা না হতেই এরেস্ট জামায়াতের ছয়জন। হিন্দু জোট ও আওয়ামীলীগ সমানে মিছিল মিটিং করছে। উগ্রবাদীদের দৌরাত্বে তাদের নাকি জীবন কোণঠাসা। জামায়াত তাদের শেষ করে দিচ্ছে... ব্লা ব্লা ব্লা।

আজ জানা গেলো সেই সোনাবাবু তার বউ খেলে দিয়েছে। যা শালা তোরা এভাবেই মর...

তোরা জীবিত থাকলেও অভিশাপ মরলেও অভিশাপ। তোদের মত অভশপ্ত জিনিস পৃথিবীতে আর নাই...

পঠিত : ৭৪৩ বার

মন্তব্য: ০