Alapon

‘আমার ট্যাক্সের টেকা দিয়া টিয়ার শেল কিনে আমারে মারবি, অন্তত নতুনটা মার’

গত বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটার যে নীতি বিদ্যমান তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের সবারই দাবি ছিল, কোটা পদ্ধতির সংস্কার। এই প্রতিবাদ গত কিছুদিন ধরে আরও বেশি জোরদার হয়। গতকাল দুপুর থেকে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা জড়ো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। আন্দোলনকারীদের অবস্থানে পুলিশ বাঁধা দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর পুলিশ চড়াও হয়। টিয়ারশেল এবং লাঠিচার্জ করে পুলিশ বীরের মতো হামলা করে।

নানান ঘটনার মাধ্যমে গত পরশু রাতে শেষ হয়ে, গতকাল সকাল থেকে আবারো উত্তপ্ত হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। ছাত্রদের মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সরগরম হয়ে উঠলে শব্দদূষণে বিরক্ত হয়ে পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগের জন্য শান্তি, শৃঙ্খলা ও প্রগতি ফিরিয়ে আনতে ঐক্যমতে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী।

এরপর হুট করে আন্দোলনকারীদের উপর টিয়ারশেলের বৃষ্টি বর্ষিত হতে থাকে। এ সময় অতি কৌতূহলী  কিছু ছাত্র-ছাত্রী ফেটে যাওয়া টিয়ারশেল পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করে, পুলিশ মেয়াদ উত্তীর্ণ টিয়ারশেল ব্যবহার করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি নগরের অদূরে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ টিয়ারশেলের বৃষ্টিপাত ঘটায়। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী সাদিয়া সিদ্দিকী গত বছরের জুলাই মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ একটি টিয়ারশেলের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আরিফ হাসান বাণী ঐ ছবিটি শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘যে টিয়ার শেল মারতেছে সেইগুলার ডেইটও এক্সপায়ার হইয়া গেছে। শালা আমার ট্যাক্সের টেকা দিয়া টিয়ার শেল কিনে আমারে মারবি অন্তত নতুন ডা মার।’

পুরোনো ও মানহীন টিয়ারশেল নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। একজন আন্দোলনকারী হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা ফেড আপ! আমরা কি মানুষ নই? আমাদেরও তো আছে মানসম্পন্ন টিয়ার শেলের অধিকার।’

এ ব্যাপারে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে মারার হুমকি দেন। তবে টিয়ারশেলের পাশাপাশি চার্জকৃত লাঠি আর রাবার বুলেট নিম্নমানের বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল কিনা, তা জানা যায়নি।

পঠিত : ১১৯৪ বার

মন্তব্য: ০