Alapon

ছাত্রলীগকে ভাঁড়ের দল বানিয়ে দিয়েছে সোহাগ-জাকির

ঢাবিতে ছাত্রলীগকে খেলো বানিয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ ও সেক্রেটারি জাকির। তারা শুরু থেকেই ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন বিরোধী। একের পর এক হামলা করেছে। 

৮ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে ছাত্রলীগের তান্ডব। পুলিশের সাথে তারাও হামলা করেছে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর। ৮ এপ্রিল গভীর রাতে সোহাগ-জাকির নিজেরাই গিয়েছিল আক্রমন করতে। শাসিয়ে দিচ্ছিলো আন্দোলনকারীদের। কিন্তু অল্প কিছুক্ষণ পরই ছাত্ররা একজোট হয়ে ধাওয়া দিয়েছিল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সেক্রেটারী ধাওয়া খায়! তাও এমন সময়ে যখন তারা ক্ষমতায় একেবারে পাকাপোক্ত অবস্থায়। 

সোহাগ- জাকিরের এহেন আচরণে বিরক্ত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাই। ঢাবিতে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায়। এরপরেও ছাত্রলীগ তাদের ছাড়েনি। হলে হলে গিয়ে নির্যাতন করেছে আন্দোলনকারী ছাত্রদের উপর। ৯ এপ্রিল রাতে সারা ঢাকা থেকে সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করে ঢাবিতে। 

১০ তারিখ রাতে ছেলেদের সাথে সাথে মেয়েদেরও নির্যাতন করেছে। কবি সুফিয়া কামাল হলে সারা রাত ধরে মেয়েদের নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ হল সভাপতি ইফফাত জাহান এশা। একপর্যায়ে মোর্শেদা আক্তার নামে একজন ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয় এশা। 

এই ঘটনায় পাল্টে যায় পরিস্থিতি। ছাত্রলীগের হল সভাপতিকে সবাই জুতাপেটা করে। জুতার মালা পরিয়ে তাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। প্রক্টর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ছাত্রলীগ তার সারা জীবনের ইতিহাসে এত করুণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে কি না জানিনা। 

আজ ১১ এপ্রিল দুপুরে সোহাগ জাকির ঘোষণা দিয়ে বসলো কোন কোটাই নাকি থাকবে না চাকুরীতে। তারা নাকি এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে হাসিনার কাছ থেকে। তারা আরো বলেছে তারা নাকি আগে ছাত্র পরে লীগ। তাই তারা পুরো কোটাই বাতিল করে এনেছে। অথচ এই কয়দিন তারা সংস্কার মানতেই রাজি ছিল না। 

শুধু তাই নয় তারা আরো দাবী করেছে তারা নাকি শুরু থেকেই এই আন্দোলনের জন্য কাজ করেছে। অবশ্য তাদের ভাঁড়ামিতে ছাত্ররা কর্ণপাত করে নি। সোহাগ-জাকির সহ টোটাল ছাত্রলীগের আর দু'পয়সার মূল্য নেই ছাত্র সমাজের কাছে।  

পঠিত : ৮৭৩ বার

মন্তব্য: ০