Alapon

বৈশাখ হাসে

বছরে ছয়টা ঋতুকে বরণ করে নিতে পারে একমাত্র বাংলার মানুষেরা। তেমনি আমরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় বরণ করে নি বৈশাখকে।

ভোরের আলো ফুটলেই বেরিয়ে পড়ে মানুষ। পাঞ্জাবী আর শাড়ির বাহারে রাজপথ,রঙ্গীন মানুষের ভীড়ে ভরে উঠে। কোথাও কোথাও বসে মেলা। ছোটদের সাথে মজা করতে বড়রাও চড়ে নাগরদোলায়। শিশুদের মুখে আলপনা বেশ শোভা পায়। পান্তা ইলিশের সাথে চলে বাতাসা,মুড়কিসহ নানান খাবার।

কেউবা প্রেয়শীর হাত ধরে রিক্সায় চড়ে ঘুরে শহর। প্রেমিকার খোঁপায় প্রেমিক গুঁজে দেয়,একটি সদ্য কেনা লাল গোলাপ। প্রকৃতির মাঝে বেজে উঠে বৈশাখী প্রেমের সুর।

ফিডব্যাকের 'মেলায় যাইরে' শুনতে বড্ড মাতাল হয়ে পড়ে মন। ঢোলের তালে চুল ঝাঁকিয়ে বাউল গেয়ে যায় বাংলার গান।

দলছুট বন্ধুরা সব একসাথে টাকা তুলে ভাড়া করে গাড়ি। গান বাজিয়ে শহর ঘুরে তারা বৈশাখে আনে নতুন জোয়ার।

গ্রামের হাঁটে বসে মেলা। দূর-দূরান্ত থেকে আসে মানুষ। হৈ-চৈ চলছে অবিরাম। সাখে শোনা যায় শিশুদের বিভিন্ন খেলনার শব্দ।কেনো জানি এই আনন্দ কৈশোর,বাধ্যর্কের মানুষদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা শৈশবে।

দোকানীরা খুলে নতুন হালখাতা। স্বর্ণকার তাদের খদ্দেরদের জন্য রাখে মিষ্টি জাতীয় খাবার আর বাংলা বর্ষপুন্জ্ঞিকা।

বৈশাখে,বাংলার মানুষের মাঝে আনন্দধ্বনি বয়ে যায়। আরো একটি নতুন বছরকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু হয় বাংলার মানুষের পথচলা।

পঠিত : ৬২০ বার

মন্তব্য: ০