Alapon

ইবনে বতুতাঃ যার পদচিহ্ন বিশ্বের পরতে পরতে (পর্ব-১)

ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেওয়া এক নাম ইবনে বতুতা। তিনি একজন বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক, চিন্তাবিদ, বিচারক এবং একজন ধর্মতাত্ত্বিক। বিশ্ব বিখ্যাত এ ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তি ঘুরে বেড়িয়েছেন আফ্রিকা থেকে ভারত উপমহাদেশ, ভারত থেকে তুরস্ক পর্যন্ত। এমনকি বাংলাদেশেও তার পদ চিহ্ন পড়েছে। তিনি বিশাল এ পথ পাড়ি দিয়েছেন কখনো নদী পথে, কখনো উট কাফেলায় আবার কখনো বা পায়ে হেঁটে।

২১ বছর বয়স থেকে তার এ ভ্রমণ শুরু এর পরে প্রায়  টানা ৩০ বছর বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। অনেকে মার্কো পালোকে তার সমকক্ষ মনে করেন। তবে মার্কো পালোর চেয়ে ইবনে বতুতা বেশি অঞ্চল ভ্রমণ করেছেন। এ কারনে  অধিকাংশ ইতিহাসিবিদ ইবনে বতুতাকেই বিশ্বের সেরা ভ্রমণকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

পরিচয়
ইবনে বতুতা ১৩০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিন মরোক্কোর তাঞ্জিয়ার নামক স্থানে এক মুসলিম বিচারপতির ঘরে জন্মগ্রহন করেন।  তাঁর পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ।চীনসহ পৃথিবীর অনেক যায়গায় তিনি “শামস-উদ-দীন” নামেও পরিচিত ।

ইবনে বতুতার বিশ্ব ভ্রমণ
ইবন বতুতা সারা জীবন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমন করে বেরিয়েছেন।মূলত তিনি পৃথিবী ভ্রমণের জন্যই  বিখ্যাত হয়ে আছেন।২১ বছর বয়সে প্রথম তিনি পবিত্র হজ পালন করার উদ্দেশ্যে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন। আর একুশ বছর থেকে শুরু করে জীবনের পরবর্তী ৩০ বছরে তিনি প্রায় ৭৫,০০০ মাইল(১,২০,০০০কিমি) অঞ্চল পরিভ্রমণ করেছেন বলে জানা যায়।

তিনি সময়কার সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন এবং এর সুলতানদের সাথে স্বাক্ষাত করেছেন।  বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকা থেকে শুরু করে মিশর, সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, কাজাকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চীন ভ্রমণ করেছিলেন। তার কিছুকাল পূর্বে এমন দীর্ঘ ভ্রমণ করে বিখ্যাত হয়েছিলেন ভেনিসের ব্যাবসায়ী এবং পরিব্রাজক মার্কো পোলো। কিন্তু তিনি মার্কো পোলোর চেয়েও তিনগুন বেশি পথ সফর করেছেন।

মক্কায় প্রথম হজ্ব পালন
 ১৩২৫ সালের ১৪ ই জুন তারিখে ইবন বতুতার বয়স ছিল ২১ বছর ৪ মাস। ১৪ জুন তিনি মরক্কোর তানজানিয়ার থেকে  মক্কা নগরীতে গিয়ে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে জন্মভূমি ত্যাগ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি উত্তর আফ্রিকার সাগর তীর ধরে পায়ে হেটে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে তিনি  আব্দ-আল-ওয়াদিদ এবং হাফসিদ সম্রাজ্য, তিমসান, বিজাইরা এবং তিউনিস অতিক্রম করে মক্কায় পৌঁছান। আরব বেদুইনদের থেকে নিরাপদ থাকতে এবং অন্যান্য সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন কাফেলার সাথে এই পথ অতিক্রম করতেন।

১৩২৫ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে উপকূলীয় পথে সাফাক্স হয়ে কাবিস শহরে পৌঁছান। কাবিস শহরে তিনি তিউনিসের এক উকিলের মেয়েকে চুক্তিতে বিয়ে করেন।পরবর্তীতে ত্রিপলি আসতে আসতে ঐ উকিলের সাথে তার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ায় এই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয় নি।বতুতা  ত্রিপলির পরবর্তী শহর ফেজে এসে তার এক ছাত্রের মেয়েকে বিয়ে করেন।

ইবন বতুতা ১৩২৬ সালের ৫ই এপ্রিল আলেক্সান্দ্রিয়া শহরে  পৌঁছান। আলেক্সান্দ্রিয়ায় থাকা কালীন তিনি ২জন ধার্মিক তপস্বীর সাথে দেখা করেন।  একজন হল শেখ বোরহানউদ্দিন, তিনি ইবনে বতুতাকে তার বিশ্ব ভ্রমণ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেন যে,

‘আমার মনে হচ্ছে তুমি বিদেশ ভ্রমণ পছন্দ করো। তুমি ভারতে আমার ভাই ফরিদউদ্দিন, সিন্ধু প্রদেশ রুকনউদ্দিন এবং চীনে বুরহানউদ্দিনের সাথে দেখা করবে এবং আমার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবে।’

অপর ব্যক্তি হলেন শেখ মুর্শিদি, তিনি  ইবনে বতুতার একটি স্বপ্লের অর্থ ব্যাখ্যা প্রদান করে ছিলেন। এদুই ব্যক্তির অনুপ্রেরণায় ইবনে বতুতা বিশ্ব ভ্রমণে অনুপ্রানিত হন।

এক সপ্তাহ পরে তিনি মামলুক সালতানাতের রাজধানী কায়রো দিকে যাত্রা করেন। একমাস কায়রোতে অবস্থানের পরে পরে তিনি নীল নদ পার হয়ে আইদাব বন্দর পার হয়ে মক্কা যাবার একটি অল্প পরিচিত পথে মক্কা অভিমূখে যাত্রা করেন। বন্দর অধিবাসীরা তাকে পুনরায় কায়রো ফেরত পাঠায়। কায়রো থেকে সুফি আবদুল আল সাদিদির পরামর্শে সিরিয়া হয়ে মক্কা যাবার পরামর্শ প্রদান করেন। সিরিয়ার দামেস্কে পৌছে সেখানে এক মাস কাটিয়ে মদিনাগামী একটি কাফেলার সাথে যোগ দেন। মদিনায় পৌছে মহানবী (সা.) এর কবর জিয়ারত করে চারদিন পরে মক্কা অভিমুখে যাত্রা আরম্ভ করেন। মক্কায় তিনি একমাস অবস্থান করেন।

মক্কা পৌঁছে হজ্জ পালন করে তিনি তাঞ্জিয়ার ফিরে যাওয়ার বদলে মধ্য এশিয়ার দিকে যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

ইরাক ও পারস্য
মক্কা থেকে তিনি ১৩২৬ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখ আরব সাগর হয়ে ইরাকের উদ্দেশ্যে এক কাফেলার সাথে যোগ দেন। এই কাফেলা তাকে নাজাফ শহরে নিয়ে যায় । নাজাফ শহরে হহযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জামাতা এবং ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলি (রা.) এর মাজার জিয়ারত শেষে বতুতা কাফেলা ইরাকের উদ্দেশ্যে রওয়া দিলেও তিনি কাফেলার সাথে না গিয়ে আরো দক্ষিণে টাইগ্রিস নদী পার হয়ে বসরা নগরির দিকে রওনা করেন।

এর পর তিনি বসরা থেকে পারস্যের তখনকার সবচেয়ে বিখ্যাত ইস্পাহান শহরের দিকে যাত্রা আরম্ভ করেন। ইস্পাহান থেকে তিনি মোঙ্গল আক্রমণে বিপর্যস্ত শিরাজ শহরে যান । শিরাজ ত্যাগ করে ১৩২৭ সালের জুন মাসে বাগদাদে পৌঁছেন। তখনও চেঙ্গিস খানের নাতি হালাকু খান কতৃক ১২৫৮ সালে বাগদাদ আক্রমণের স্পষ্ট চিহ্ন দেখতে পানে।

বাগদাদের শেষ মোজ্ঞল সম্রাট আবু সাইদের সাথে সাক্ষাত করলে সাউদের পরামর্শে রাজকীয় কাফেলার সাথে তিনি উত্তরের সিল্ক রোড হয়ে তাবরিজ শহরে গমন করেন। ধারনা করা হয় তাবরিজ থেকে ইবনে বতুতা জুলাই মাসে পুনরায় বাগদাদের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে তিনি সিজরা ও মারদিন শহরগুলো ভ্রমণ করেন। সিনজার থেকে একটি কাফেলার সাথে যোগ দিয়ে পুনরায় মক্কায় প্রবেশ করে দ্বিতীয় বারের মত হজ্জ পালন করেন। এর পর ৩ বছর তিনি মক্কাতেই অবস্থান করেন। যদিও এটি নিয়ে মত বিরোধ রয়েছে।

আরব উপদ্বীপ
মক্কাতে ৩ বছরকাল অবস্থান করে ১৩৩০ সালের হজ্জ পালন করেন। কেউ কেউ এই সময় নিয়ে দ্বিমত পোষন করেন। অনেকের মতে তিনি ১৩২৮ সালের হজ্জ পালন করেন।  পরবর্তীতে তিনি জেদ্দা থেকে লোহিত সাগরের দিকে যাত্রা আরম্ভ করেন। নৌকার সাহায্যে তিনি ইয়েমেন পৌঁছে তা’ইজ শহরে  সুলতান নুর-উদ-দিনের সাথে সাক্ষান করেন।

এর পরে তিনি রাজধানী সানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। যদিও এ ভ্রমণের বিস্তারিত পাওয়া যায় না। তবে ধাওনা অনুযায়ী তিনি ১৩২৯ থেকে ১৩৩১ সালের মধ্যে কোন এক সময় তা;ইহ থেকে রওনা দিয়ে তখনকার গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর এডেন চলে আসেন। 

সোমালিয়া ও সাওয়াহিলি তীরে গমন
এডেন বন্দর থেকে জাহাজে করে চারদিনের যাত্রা পথ সোমালিয়ার জায়লা (বর্তমানে বারবারাহ আরবি শব্দ বারবারাহ অর্থ আফ্রিকার শিং) শহরে পদার্পন করেন। জায়লা শহর থেকে পনের দিনের যাত্রা শেষে  ম্যাকদ্যাশ’অ (মোগাদিশু) পৌঁছান। ইবনে বতুতা মোগাদিসুকে একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেন। নানা অঞ্চল থেকে বণিকেরা মোগাদিসু বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যে আসত। মোগাদিসু থেকে বণিকেরা একপ্রকার সুতি কাপড় নিয়ে মিশর , সিরিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে রফতানি করত। তৎকালীন মোগদিসুর সুলতান আবু বকরের অতিথিয়তায় চারদিন অবস্থান করে তিনি সাওয়াহিলির (অর্থ উপকূলীয় এলাকা)  উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

সাওয়াহি’লি তৎকালীন সময়ে “বিলদ-আল-জাঞ্জ” নামে পরিচিত ছিল যার অর্থ হল জাঞ্জদের ভূমি। জাঞ্জ শব্দটা কোন ভাষা থেকে এসেছে তা জানা যায় না, তবে মধ্যযুগে আরবরা পূর্ব আফ্রিকার নিগ্রোদের এই নামে ডাকত। তিনি সায়াহিলি আগমন করেছিলেন তার অন্যতম কারন হল কুলওয়া শহর ভ্রমণ করা। এটি বর্তমানে কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ার অংশবিশেষ। ইবনে বতুতার বর্ণনা থেকে জানা যায় তখন সেখানকার সুলতান ছিলেন মুজাফফর হাসান যিনি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন। ইবনে বতুতা বর্ণনা করেন সে সময় এ সুন্দর শহরটিতে খুব ভাল জাতের ঘোড়া পাওয়া যেতে।

এখান থেকে প্রশিক্ষিত ঘোড়া ভারতে রফতানি হত। মৌসুমি বায়ুতে পরিবর্তন আসতে থাকলে ১৩৩০ সালে তিনি ওমান ও হরমুজ প্রণালী হয়ে পুনরায় হজ্জ পালনের উদ্দেশে মক্কার দিকে  রওনা দেন।

মধ্য এশিয়া আগমন
মোগাদিসু থেকে মক্কায় এসে এক বাছর অবস্থান করে তার ইচ্ছে হল তৎকালীন ভারতের সম্রাট মুহাম্মদ বিন তুঘলকের চাকরি করবেন। এ উদ্দেশ্যে ভারতের গাইড ও কাফেলার খুজে ১৩৩০ সালে তুরস্কের আনাতোলিয়া দিকে যাত্রা করেন। আনাতোলিয়া থেকে বণিকেরা ভারতবর্ষে গিয়ে ব্যবসা করত। সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দর থেকে জাজাযে করে তুরস্কের দক্ষিন আলানা পৌঁছান। এর পরে পায়ে হেটে কুনিয়া হয়ে কৃষ্ণ সাগরের তীরে পৌঁছান।

অতঃপর সিনোপ হয়ে আজাক শহরে পৌছে দেখেন সেখানকার আমীর রাজধানী সারা যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইবনে বতুতা আমীরকে তার সাথে নেওয়ার অনুরোধ করলে আমীর ইবনে বতুতাকে নিয়েই রওনা দেন। পথিমধ্যে আস্ত্রখানে  সুলতানের ভ্রাম্যমান একটি গ্রামের দেখা পান। যেখানেই সুলতান তুঘলক খানের সাথে ইবনে বতুতার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। সুলতানের স্ত্রীদের সাথেও তার সাক্ষাৎ হয় সে সময় তিনিনি অনেক উপহার সামগ্রি পান। তুঘলক খানের তৃতীয় স্ত্রী বায়লুন ছিল কনস্টান্টিনোপোলের দোর্দোণ্ডপ্রতাপ সম্রাট আন্দ্রোনিকার তৃতীয় এর মেয়ে।

সম্রাটের স্ত্রী  বায়লুন সেই সময় আন্তঃস্বত্বা ছিলেন এবং সুলতানের কাছে তার বাবার বাড়িতে সন্তান প্রসব করার ইচ্ছা পোষণ করলে সুলতান তাকে কনস্টান্টিনোপোলে যাবার অনুমতি দেন।  সেই সাথে ইবন বতুতাকেও খাতুনের মহল্লার সাথে কনস্টান্টিনোপল যাওয়ার অনুমতি দেন। ইবনে বতুতা  ১৩৩৪ সালের শেষের দিকে কনস্টান্টিনোপোল পৌঁছান। এটিই ছিল ইসলামী সম্রাজ্যের বাইরে ইবন বতুতার প্রথম সফর। কনস্টান্টিনোপলসম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে ইবন বতুতা তার বই “রিহলা” তে বলেন :
“শহরটা আকারের দিক দিয়ে ব্যাপক বিস্তৃত এবং মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া গোল্ডেন হর্ন নদীর জন্য শহরটি দুভাগে বিভক্ত। নদীতে নিয়মিত জোয়ার ভাটা হয় । অতীতে নদী পারাপারের জন্য সেতু ছিল কিন্তু সেটা ভেঙে যাওয়ায় এখন নৌকায় করে পার হতে হয়। এ নদীর পুব পাড়ের অংশের নাম ইস্তাম্বুল। এপাড়েই আছে সম্রাটের প্রাসাদ এবং গণ্যমান্যদের বাস। এ শহরের বাজার ও রাস্তাঘাট অনেক প্রশস্ত এবং পাথর দিয়ে বাধানো। প্রতিটা বাজারে প্রবেশের জন্য বড় বড় ফটক আছে, রাতে সেগুলো বন্ধ থাকে।”

ইবনে বতুতা কনস্টান্টিনোপোলের আয়া হেলেনা গির্জার বর্ণনা প্রদান করেন। যে গির্জাটির পরবর্তীতে নাম হয় সেন্ট হেলান। এই গির্জার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে জানা যায় যে এটি নির্মাণ করেছিলেন আসাফ, বেরেচিয়াহর ছেলে; যিনি হযরত সুলায়মান (আ.) এর ভাতিজা ছিলেন। গ্রিকদের যত গির্জা আছে সেন্ট হেলেনা তাদের মধ্যে সবচেয়ে চমৎকার।গির্জাটির চার দিকে দেওয়াল দেওয়া দেখলে মনে হয় একটি শহর।

কিছু সময়  থাকার পর কনস্টান্টিনোপলথেকে অস্ত্রখানে ফিরে বতুতা জানতে পারেন যে সুলতান তুঘলক তার রাজধানীতে ফিরে গেছেন। তার রাজধানী সারায় গিয়ে সুলতানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ভারত এবং চায়নার উদ্দেশে রওনা হন।



চলবে......

পঠিত : ১৩৪৬ বার

মন্তব্য: ০