Alapon

"গুলি করে সব শালা মৌলবাদীদের শেষ করে দিবো"

ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা দম্ভ করে চেচিয়ে ওঠে বলে “এই মহুর্তে স্থান ত্যাগ করতে হবে নইলে গুলির আদেশ দিব, শালা মৌলবাদীদের সাফ করে দিবো”। 

কেন বলেছিলো সে এই কথা? কি হয়েছিলো সেদিন?

আগামীকাল ১১ মে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বর এক দিন। ১৯৮৫ সালের এই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঈদগাহ ময়দানে সংঘটিত হয় এক পৈশাচিক, নারকীয় হত্যাকাণ্ড। ১৯৮৫ সালের ১০ এপ্রিল ভারতের দু’জন উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদী নাগরিক পদ্মপল চোপরা ও শীতল সিং কুরআনের সকল আরবি কপি ও অনুবাদ বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট করে।

তারা মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা বাকারার ১৯১ নম্বর আয়াত ও সূরা তাওবার ৩১ নম্বর আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, ‘কুরআন যেহেতু কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ও তাদের হত্যা করার কথা বলেছে, সেহেতু কুরআন একটি সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গ্রন্থ।’ তাই একে বাজেয়াপ্ত করার দাবি তুলে মামলা দায়ের করে এই দুই পাপিষ্ঠ।

ভারতীয় সংবিধানের ২২৩ নং ধারা সিআরপিসি ১১৫ (ক) ও ২৯৯ (ক) উদ্ধৃতি দিয়ে তারা কুরআনকে ভারতীয় সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করে। বলে, এই গ্রন্থ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্ম দিতে পারে। বিচারপতি পদ্ম খস্তগিড় কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করেন। যদিও ভারতীয় সংবিধানে ওহি সম্পর্কে ধারণা দেয়া আছে। তিনি ১২ এপ্রিল এ বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেন। কুরআনকে বাজেয়াপ্ত করার মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কলকাতাসহ সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ভারতের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের দেশে সবখানে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো।

এ ঘটনায় গোটা ভারতে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশ এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। যার উত্তাল তরঙ্গের জলরাশি আছড়ে পড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ সহ প্রতিটি জেলায়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ ইসলাম প্রিয় তৌহিদি জনতার মিছিলে অত্যাচার নিপীড়নও চালায়।

যেভাবে কোরআন প্রেমিকদের খুনে রঞ্জিত হয়েছিলঃ

চাপাইনবাবগঞ্জ :
চাপাইনবাবগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব হোসাইন আহমদ একটি সভার আহবান করেন। সেই সভা থেকে ১১ই মে ঈদগাহ ময়দানে বিকেল ৩টায় প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। সভার প্রস্তুতির জন্য পুরো জেলাতে লিফলেট ও মাইকিং করা হয়। এর পূর্বের দিন শুক্রবার মসজিদে জুমআর খুৎবায় এবং নামাজ শেষে ইমাম সাহেবেরা পরের দিন সামবেশে অংশ গ্রহণের জন্য আহবান জানান।

সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আবেগ ও উত্তেজনা বইতে থাকে। আবাল-বৃদ্ধ সবাই সেই সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। কিন্তু ১১ই মে হঠাৎ করে তৎকালীন পুলিশ সুপার আওলাদ হোসেন এবং মেজিষ্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লার (যিনি বর্তমানে একজন সচিব) নেতৃত্বে সভা স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে ব্যপাক পুলিশ মেতায়েন করে। পুলিশ জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

ওয়াহিদুজ্জামান দম্ভ করে চেচিয়ে ওঠে বলে “এই মহুর্তে স্থান ত্যাগ করতে হবে নইলে গুলির আদেশ দিব, শালা মৌলবাদীদের সাফ করে দিবো”। উত্তেজিত আবেগকুল জনতা চলে গেল না। তারা জানিয়ে দিলেন, গুলির ভয়ে এ স্থান ত্যাগ করা মানেই আল কোরআনের অপমান, আমরা এস্থান ত্যাগ করবো না। এই উত্তাল তরঙ্গমালার সাথে সেই দিন শামিল হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী হাজার তৌহিদী ছাত্র-জনতা।

জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলের মাধ্যমে তারা ঈদগাহ ময়দানে জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে মেজিষ্ট্রেট মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান বিনা উস্কানিতে গুলির নির্দেশ দেয়। পুলিশ একনাগাড়ে প্রায় পনের মিনিট পর্যন্ত গুলি রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিপে করতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢলে পড়লো পনের বছরের কিশোর কোরআন প্রেমিক স্কুলছাত্র আবদুল মতিন। পুলিশের গুলিতে একে এক শাহাদাৎ বরণ করলেন কৃষক আলতাফুর রহমান, রিক্সা চালক মোক্তার হোসেন, দশম শ্রেণীর রশিদুল হক, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শীষ মোহাম্মদ ও সেলিম এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহাবুদ্দৌলা।

আহত হয় শামীম, গোলাম আযম বুলু, শরীফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, রায়হান, এনামুল হক, মাহবুব, রেজাউল, শাহজাহান, রাজুসহ নাম না জানা আরো অনেকেই। লাশ আর আহতদের স্তুপে ভরে গেল ঈদগাহ ময়দান। পলায়নরত অসহায় মানুষের পিছু ধাওয়া করে শহরের অভ্যান্তরেও গুলি চালাতে থাকে। টুপি, পাঞ্জাবি, দাঁড়ি দেখলেই নির্মমভাবে তাদের উপর আক্রমন চালানো হয়। 

আহতদের রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হলো দুটো মিনিবাসে করে। দেড়ঘন্টা পর যখন মিনিবাস থানা পার হচ্ছিল কুখ্যাত মেজিষ্ট্রেট আবারো গাড়ি থামিয়ে গুলির নির্দেশ দেয়। এতে আহত হয় গাড়ীর হেলপার, মারা যায় কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। আহতদের নামিয়ে দৈহিক নির্যাতন চালানো হয় এবং নিখোঁজ হয় কয়েকজন আহত ব্যক্তি। কেবল হত্যা ও জখম করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ হতাহতদের গুম করে ফেলেছিল সেই দিন। জানাজার মুহুর্তে লাশ কেড়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের আত্নীয়-স্বজনদের কাছ থেকে।

এ ঘটনায় শহীদ হলেন য়ারাঃ
(১) পনের বছরের কিশোর  স্কুলছাত্র আবদুল মতিন
(২) কৃষক আলতাফুর রহমান
(৩) রিক্সা চালক মোক্তার হোসেন 
(৪) দশম শ্রেণীর ছাত্র রশিদুল হক 
(৫) অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র  শীষ মোহাম্মদ ও সেলিম 
(৬) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহাবুদ্দৌলা 

হাসপাতালের হৃদয় বিদারক দৃশ্য :

কেবল হত্যা ও জখম করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ হতাহতদের গুম করে ফেলেছিল সেই দিন। জানাজার মুহুর্তে লাশ কেড়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাদে্র আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে। গ্রেফতার করা হয় কোরআনপ্রেমী এনামুল, রেজাউল, শামীম, সেতাউর রহমান, সাইফুল সহ আরো অনেককে। এর মধ্যে কারফিউ জারি করা হল। শুরু হল সেনা টহল, সামরিক জান্তাদের কাছে অনেকেই নাজেহাল হলো। রাতের চাপাইনবাবগঞ্জ যেন এক মৃত্যু পুরীতে পরিণত হলো।

সংবাদ মাধ্যম গুলোর কণ্ঠরোধঃ

বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন বর্বরতা ঘটে গেল। বিক্ষুব্ধ মানুষ রাস্তায় বের হলো অথচ পরদিন পত্রিকায় কোনো সংবাদ ছাপা হলো না। কারণ সেন্সরশীপ অর্ডিনেন্স জারি করে পত্রিকার কণ্ঠরোধ করা হলো। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আবার সেই পুরোনো স্বৈরচারের প্রকাশ ঘটালো। ১৩ই মে সরকার একটি প্রেসনোট করে আসল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করল। তাতে চাপাই নবাবগঞ্জবাসী হতবাক হলো। প্রত্যদর্শীদের মতে যেখানে শহীদের সংখ্যা ১১, চাপাই নবাবগঞ্জবাসীদের মতে ২০ এর অধিক। নিখোঁজ সংখ্যা ৮/৯। কিন্তু প্রেসনোটে শহীদের সংখ্যা বলা হয়েছে মাত্র ৬।

এ ব্যাপারে দেশের জনগনকে অন্ধকারে রাখা হলো। কিন্তু খবর চাপা পড়ে থাকেনি। পরদিন হরতাল আহবান করা হয়। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বাজারে ও মসজিদে লিফলেট  দেয়া হয়। গভীর রাতে কারফিউ ভঙ্গ করে সাইকলে চড়ে মোল্লার ফাঁসির দাবিতে পোস্টারিং করা হয়। কোরআন প্রেমীরা প্রতিদিন ঘটনাকে তুলে ধরতে থাকে মসজেিদ মসজিদে। মুসল্লিদের সপ্ত ঈমান যেন আবার জেগে উঠলো। ঘটনার বিহবলতায় হুহু করে কেঁদে উঠেন মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধরা। উত্তেজনায় হাফাতে থাকেন যে এখনই ঝাপেিয় পড়বেন তাগুতের বিরুদ্ধে।

সাবাস বিপ্লবী চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীঃ

এতো রক্ত, এতো গুলি, এতো আহত এতো তান্ডব- তারপরও পরবর্তী দিনগলোতে সাহসের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছে চাঁপাই নবাবগঞ্জবাসী। পুলিশের গুলির মুখে নারায়ে তাকবীর ধ্বনি তুলে ছুটে আসেন তারা ঈদগাহ ময়দানে, কারফিউ উপেক্ষা মিছিল আর শ্লোগানে কাঁপিয়ে তোলে ছোট্ট শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ১৩ই মে পরদিন হরতাল আহবান করা হয়। গভীর রাতে কারফিউ ভঙ্গ করে সাইকলে চড়ে মোল্লার ফাঁসির দাবিতে পোস্টারিং করা হয়। পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী যে অভূতপূর্ব হরতাল পালন করেছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। সেদিন কেবল গাড়ি-ঘোড়া বা রিক্সাই নয়, মহানন্দার বুকে কোন নৌকাও চলেনি। এভাবেই মানুষ প্রকাশ করেছে কুরআনের প্রতি ভালোবাসা এবং স্বৈরাচারকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

কোরআনের বিরোদ্ধে করা মামলা খারিজঃ

অপরদিকে বাংলাদেশের এ ঘটনার ফলে সারা বিশ্বে একটি জনমত সৃষ্টি হয় এবং এর ফলশ্রুতিতে ১৩ ই মে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বি. সি বাসক বামনের আদালতে স্থানান্তরিত হয় এবং তিনি উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেয়।

শহীদ পরিবারকে সরকারের হাস্যকর সহযোগিতাঃ

তার পরদিন সরকারি ঘোষণা আসলো শহীদ পরিবারকে ৫০ হাজার  টাকা দেয়া হবে। এটি ছিল সবচেয়ে হাস্যকর। ঠাণ্ডায় মাথায় মানুষ হত্যা করে  কিছু টাকা দিয়ে তার দায় এড়াতে চান। কিন্তু আজো চাপাই নবাবগঞ্জ বাসীর দাবি হত্যা কাণ্ডের মূল নায়ক ডি সি এ কে এম শামুসুল হক, এসপি আওলাদ হোসেন এবং মেজিষ্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লাসহ খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। জনতার ঘোষণা খুনীদেরকে আমাদের হাতে তুলে দেয়া হোক।  তাদেরকে হত্যা করে আমরা চাঁদা তুলে তাদের স্ত্রী পুত্রদের জন্য এক লাখ টাকা করে দিবো ।

১১ মে’কে কুরআন দিবস ঘোষণার দাবিঃ

আমাদের দেশে নানা ধরনের দিবস পালন করা হয় জনসচেতনতা তৈরির জন্য, বিশেষ বিষয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। কিন্তু দিবসগুলোর অধিকাংশই চরিত্রবিধ্বংসী উৎসবে পরিণত হয়। যুবক-যুবতীরা নিজেদের ধর্ম, বিবেক, অর্জিত শিক্ষা, সমাজ-সংস্কৃতি, আদব-কায়দা, মনুষ্যত্ববোধ বিকিয়ে দিয়ে উন্মাদনায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বিশেষ করে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, থার্টিফার্স্ট নাইট, নিউ ইয়ার, পয়লা বৈশাখে কী না হয়! আবেগ, সঙ্গদোষে বল্গাহীন ¯্রােতের তোড়ে নিজেদের যারা মুহূর্তে ভাসিয়ে দেয়, সে জাতি দিয়ে হয়তো অনেক কিছু করা সম্ভব; কিন্তু এমন উলঙ্গ কর্মযজ্ঞ অব্যাহত থাকলে কালান্তরে একাটি আত্মবিশ্বাসহীন, ভঙ্গুর জাতির ভিত্তি যে নির্মিত হবে, তা হলফ না করে বললেও পারিপার্শি¦কতা থেকে সহজে অনুমেয়। যে কারণে সমাজে এমন কিছু অঘটন ক্রমে ঘটেই চলছে যে সমাজ সে তুলনায় ‘এন্টিভাইরাস’ সাপ্লাই করতে পারছে না। দুরারোগ্য ব্যাধি সংক্রমিত হয়ে এখন আমাদের সভ্যতা লাইফ সাপোর্টে আছে বললে ভুল হবে কি না জানি না।

এ উদ্বেগ নিশ্চয়ই শুধু আমার নয়, হাজার-লক্ষ হৃদয়ের। কিন্তু যার যার অবস্থান থেকে যদি কোন উদ্যোগ নেয়া না যায়, তাহলে কি হৃদয়ে যন্ত্রণা বৃদ্ধি বৈ এ উদ্বেগের কোন সার্থকতা থাকতে পারে? তাই ঐতিহাসিক ১১ মে কুরআন দিবসকে আমরা সমাজের জন্য একটি ‘এন্টিবায়োটিক’ হিসেবে চালু করতে চাই।

যে জাতি কুরআনের সম্মান রক্ষায় জীবন দিতে পারে, সে জাতি দিক ভ্রান্ত হতে পারে না। সরকারের উচিত হবে অতিসত্বর ১১ মে’কে কুরআন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা, জাতীয় দিবস হিসেবে ঘটা করে পালন করা। কুরআনের মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছিল তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, কোন মহল কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশে যেন গণ্ডগোল পাকাতে না পারে সে ব্যবস্থা করা। এ দাবির পক্ষে বুলন্দ আওয়াজ তোলা সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।

শেষ কথাঃ

এখনও দিকে দিকে নাস্তিক্যবাদীরা কুরআনের সম্মানকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নানা ফন্দি-ফিকিরে ব্যস্ত। যেখানেই কুরআনের সম্মান লঙ্ঘন করার ঘৃণ্য চেষ্টা হবে, সেখানেই ইস্পাত কঠিন প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভেঙে দিতে হবে ইসলামবিদ্বেষীদের বিষদাঁত। কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে যারা বাধা দিতে চায়, কুরআনের প্রেমীদের যারা নিঃশেষ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঈমানদারদের সংগ্রাম কি থেমে থাকতে পারে?

তাই আসুন ! আজ আমরাও কুরআনপ্রেমে উদ্বেলিত হয়ে, কুরআনের শহীদদের এ মহান ত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে কুরআন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শমিল হই।

“সিনায় ফুঁকে নাও আয়াতুল কুর্সির অমর সাহস, সিংহের বিক্রমে উচ্চারণ কর বিশ্বাসের পংক্তিমালা, যদি এগিয়ে চলার মিছিলে ফেটে পড়ে তোমার বজ্রের মত স্লোগান, বৈশাখের ঝড়ের মত দেয়ে চলা নৃত্যে কেঁপে উঠে গ্রহলোক, গ্রাম গ্রাম মানুষ চেতনায় নতুন সূর্য উঠবে"
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তার অনুগত বান্দা হিসেবে কবুল করুন।

আমীন ।।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

পঠিত : ৭৩৪ বার

মন্তব্য: ০