তারিখঃ ১৬ মে, ২০১৮, ০১:১৩
অবাক হওয়ার জন্য তাজমজলের সামনে দাঁড়াতে হয়না। মাঝে মাঝে কিছু সাধারন মানুষের সামনে দাঁড়ালেও ভীষন অবাক হওয়া যায়...
লোকটাকে প্রায়ই দেখতাম মসজিদের সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে আছে। তার গলায় ঝুলানো টেপ থেকে সুন্দর সুন্দর গজলের আওয়াজ আসতো।
আমি ভাবতাম হয়তো রেকর্ড করা কিছু বাজাচ্ছে আর ডিজিটাল ভিক্ষা করছে..
তারপর একদিন খেয়াল করে দেখলাম, উনি রেকর্ড বাজায়না, বরং নিজেই গায়।
ভিক্ষা করেন না, বরং গলায় ঝুলানো আতর, তসবীহ বিক্রি করেই পেট চালান।
সেদিন একপাশে ডেকে নিয়ে ছবি তুলতে চাইলাম, রাজী হলেন। নিজের গাওয়া গান গাইলেন।
তারপর যা দেখলাম তাতে স্রেফ মুগ্ধ হলাম।
গান গাওয়া শেষে উপস্থিত আমরা কয়েকজন কিছু টাকা সাধলাম।
আমাদের কে লজ্জা দিয়ে এই বান্দা বললেন 'ভাই দু:খিত! আমি ভিক্ষা করিনা। আমাকে এভাবে টাকা দিবেন না। অন্ধত্ব আমাকে ভিক্ষুক বানায়নি। আমার আল্লাহ আমাকে ভালোই রেখেছেন! আমি ব্যবসা করে খাই'।
অত:পর তাঁর কাছ থেকে মিসওয়াক কিনেই নিজেদের কে শান্তনা দিলাম..
লোক টা চলে গেল..
আমি ভাবছি তো ভাবছিই...
কি নেই আমাদের চারপাশে?
আছে অধ:পতন আবার তার পাশেই আছে সম্ভাবনা..
একজন ডিগ্রীধারী শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছেন ধর্ষক।
আবারএকজন জন্মান্ধ পথে পথে ঘুরে ঘুরে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন..
অন্ধত্ব কোন অভিশাপ নয়!
ভিক্ষাবৃত্তি কোন সমাধান নয়!
আসুন! চোখ মেলে তাকাই!
পঠিত : ৭৬৩ বার
মন্তব্য: ০