Alapon

আহা তুরিন! ওহ তুরিন!

এইতো পাঁচ বছর আগের কথা। ২০১৩ সালের সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে চাই। আহা কী ছিল হম্বি তম্বি। তুরিন আফরোজ তখন স্টার। আরো স্টার ছিল মুজা ইকবাল, ইমরান এইচ সরকার, মারুফ রসুল ইত্যাদি ইত্যাদি। 
 
না তারা এখনো পরাজিত শক্তি নয়। আমরা এখনো জয়ী হতে পারিনি। এর মধ্যেই তারা অপদস্থ হতে শুরু হয়েছে। 

একের পর এক বের হচ্ছে তাদের জীবনের কুৎসিত সব রূপ। মূলত জামায়াতের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা এবং অগ্রগতি তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে।  দু'টো মন্ত্রণালয় জামায়াত ভালোভাবে চালানো দেখে তারা বুঝে গিয়েছিল সুস্থ রাজনীতি করে পারা যাবে না জামায়াতের সাথে। 

তাই তারা কূট কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে সৎ ও মহৎ মানুষগুলোকে।    

এরপর শুরু করেছে দূর্নীতি। কিছুদিন আগে তুরিনের ফোনালাপ উদ্ধার হয়েছে। যেখানে তাকে দেখা যায় ১৯৭১ সালের এক পাকিস্তানী আর্মি অফিসারের (পরবর্তীতে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান) সাথে কথা বলতে। 

সেখানে সে গোপনে বোরখা পড়ে ও নিজের সহকর্মীকে স্বামী বানিয়ে তার সাথে গুলশানের হোটেলে দেখা করে। সেখানে সে বলতে চায় সে অভিযোগ থেকে ঐ আর্মি অফিসারকে বাঁচিয়ে দিতে চায়। বুঝা গেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে তারা ব্যবসার জায়গা বানিয়েছে। ঐ ব্যক্তি NSI এর প্রধান হওয়ায় সে কৌশলে তুরিনের সব কথা রেকর্ড করেছে। অন্য কেউ হলে হয়তো তুরিনরা বেঁচে যেত। 

এই বিষয়ের সমাধান না হতেই বের হয়ে এলো আরো কুৎসিত বিষয়। অত্যান্ত লোভী এই মহিলা নিজের বৃদ্ধা মাকে ঘর থেকে তাড়িয়ে ঘর দখল করে নিয়েছে।   রাজধানীর উত্তরায় ভাইয়ের নামে মায়ের দেয়া ওই বহুতল বাড়িটি গত বছর জোর করে দখলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।

দখল হওয়া বাড়ি উদ্ধারের জন্য ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন তুরিন আফরোজের আপন ছোটভাই শাহনওয়াজ আহমেদ শিশির। মামলাটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন শিশির ও তুরিন আফরোজের মা শামসুন নাহার। 

ঢাকার উত্তরার বাড়িটি ছাড়াও গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকাতেও পৈতৃক সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ করেছেন তার মা শামসুন নাহার তসলিম। এই প্রেক্ষাপটে নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পত্র দিয়েছেন তুরিনের মা। মেয়ে তুরিন জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বরাবর গত বছরের ৭ জুলাই অভিযোগ দিয়েছেন শামসুন নাহার।

তুরিনের ভাই শাহনওয়াজ আহমেদ শিশির উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। 

ঘটনার পর থেকেই মা শামসুন নাহার আর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ সড়কের ১৫ নম্বরের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। 

তুরিনের মা বলেন, ‘আমার সব সুখ খানখান করে দিয়েছে পেটের মেয়ে তুরিন। ৫ তলা বিশিষ্ট দুই ইউনিটের বাড়িটি তুরিন দখলে নিয়েছে। 

‘কথায় কথায় আমার মেয়ে তুরিন র‌্যাব ডিজি, পুলিশ, গোয়েন্দাদের ভয় দেখায়। জীবনের শেষ বেলায় বড়ই অসহায় লাগছে। 

ব্যক্তি আর সংসারজীবনে উচ্ছৃঙ্খল তুরিন আজ আমাদের প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এমনটি বলছিলেন তুরিনের মা।

যার বিরুদ্ধে এমন কথা বলে তার নিজের জন্মদাত্রী মা সে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রজন্মের তারকা।

পঠিত : ১৯৯৩ বার

মন্তব্য: ০